॥ এম শাহীন আল আমীন ॥ “মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ” এই শ্লোগানকে হাইলাইটস করে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে রহিমা সালাম স্কুল এন্ড কলেজের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম। তার শ্রদ্ধেয় বাবা মায়ের নামানুসারে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করেছেন। ২০২৩ শিক্ষা বর্ষ থেকে রহিমা সালাম স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্বষ বা পাঠদান শুরু হবে। রহিমা সালাম স্কুল এন্ড কলেজের ব্যাতিক্রম বৈশিষ্ট্য হলো নিজস্ব বহুতল ভবন, বিশাল খেলার মাঠ, পূর্নাঙ্গ লাইব্রেরি, ক্যান্টিন ও শব্দ দুষনমুক্ত পরিবেশ। আবাসিক ও অনাবাসিক সুবিধা থাকবে রহিমা সালাম স্কুল এন্ড কলেজে। শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন দিগন্ত স্থাপন করতে চায় রহিমা সালাম স্কুল এন্ড কলেজ। দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদ্বারা পরিচালিত হবে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির মূল ক্যাম্পাস বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মালিবাগ মোড়ে।
রবিউল ইসলাম। পেশায় একতজন ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী। সফলদের মধ্যে অন্যতম। সহজ সরল ও সৎ মানুষ। একজন শিক্ষানুরাগীও বটে। রবিউল ইসলাম একজন ব্যাতিক্রম বিনোয়োগকারী। কারণ সাহস করে তিনি শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করছেন। যার নজীর বকশীগঞ্জে খুবই কম। আমি তাকে স্যালুট জানাচ্ছি। তবে সবার পক্ষ থেকে না। ব্যাক্তিগতভাবে স্যালুট। কারণ রহিমা সালাম স্কুল এন্ড কলেজের সাইন বোর্ড একদিনে সাবালক হয়নি। একদিনে উপড়ে উঠার সাহস পায়নি। বিগত প্রায় ৪ বছর পর দৃশ্যমান হচ্ছে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষানুরাগী
বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামকে এ বিষয়ে অনেক বিরক্ত করেছি। চার বছর আগ থেকে পরিকল্পনা ও স্বপ্ন নিয়ে ঘাটাঘাটি। দুই বছর আগে স্বপ্ন বাস্তবায়নে শতভাগ সম্মতি জ্ঞাপন করেন আমাদের সেই শিক্ষানুরাগী রবিউল ইসলাম। আমাদের প্রিয়, শ্রদ্বেয় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ(অব:) হেলাল উদ্দিন খান ও অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ডিপটি এই মেগা প্রকল্পের আলাপ আলোচনায় মধ্যমনি ছিলেন। তারা সংযুক্ত হওয়ার পর আরও উদ্যোগি হয়ে উঠেন প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম। এর পর থেকেই আমি, অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন খান ও অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ডিপটি শিক্ষাবান্ধব নানা পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিষ্ঠাতার সাথে অনেক সংলাপ হয়েছে। অবশেষে দৃশ্যমান হয়েছে রহিমা সালাম স্কুল এন্ড কলেজ।
রহিমা সালাম স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বিগত চার বছর প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়কে ব্যাক্তিগতভাবে নানাভাবে বিরক্ত করেছি। সময়ে অসময়ে বায়না একটাই ছিলো প্রতিষ্ঠানটি দৃশ্যমান হওয়া। বায়না, দাবি ও যুক্তির কারনে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্টা হয়নি। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে প্রতিষ্ঠাতার একক ইচ্ছায়। একক উদ্যোগে। একক বিনিয়োগে। একক সাহসে।
আমি প্রত্যাশা করি রহিমা সালাম স্কুল এন্ড কলেজ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলাবাসীর শিক্ষার বাতিঘর হিসেবে পরিচিতি হবে। মানে হবে আপোষহীন। ছোট পরিসর না। অনেক বড় পরিসরেই মাথা উচুঁ করে নিজের পরিচয় দিবে আমি “রহিমা সালাম স্কুল এন্ড কলেজ”। যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় লাঠিতে ভর করে না নিজস্ব শক্তিতেই প্রস্তুত থাকবে “রহিমা সালাম স্কুল এন্ড কলেজ”। কারণ যিনি তার চালিকা শক্তি তিনি শতভাগ শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তি। নিজের পরিবার ও পরিবারের সদস্যদের যেভাবে দেখভাল করেন প্রতিষ্ঠানকেও তাই করবেন। স্যালুট প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী রবিউল ভাই।