মোঃ আবু সাইদ, নান্দাইল(ময়মনসিংহ)।। ময়মনসিংহের-নান্দাইলে নিজ বসত ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাহফুজুর রহমান সাজিদ (১৫) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ।
রবিবার (২৭ মার্চ) সকাল ১১ টায় উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের রহিমপুর গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মাহফুজুর রহমান সাজিদ মৃত শাহাব উদ্দিনের ২য় পুত্র। সে তারাপাশা শাহ-নুরন্নবী উচ্চ বিদ্যপীঠে ৮ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো । পুলিশ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রহিমপুর গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রেঃ জানা যায় নিহত সাজিদ মিয়ার বাবা শাহাব উদ্দিন মারা যাবার পর থেকে মা ইয়াসমিন আক্তার ও বড় ভাই রবিউল আউয়াল শুভ এক সাথে বসবাস করতো। গত ২ দিন আগে মা ও বড় ভাই রবিউল আউয়াল শুভ পাশ্ববর্তী বাকচান্দা গ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে চলে যায়। বাড়িতে সাজিদ একা থাকায় (শনিবার) দিবাগত রাতে কে বা কাহারা নিজ বসত ঘরে ঢুকে চুরিকাঘাত করে হত্যা করে। সকালে মৃত সাজিদের চাচাতো বোন সাবিনা আক্তার বলেন, আমি ঘুম থেকে ওঠে মরিচ আনার জন্য তার ঘরে প্রবেশ করি সাজিদকে ডাকি যে সাজিদ আমি তোদের ঘর থেকে মরিচ নিতেছি, তখন সাজিদ কোন প্রকার উত্তর না দেওয়ায় আমি সাজিদের রুমের দিখে যাই, গিয়ে দেখি পায়ে রক্ত ঘরের মেজেতে রক্ত পরে আছে, আমি ঘর থেকে বাহির হয়েে চিৎকার করি, তখন বাড়ীর লোকজন ও আমার বাবা ছুটে আসেন সাজিদের ঘরের দিকে। সাজিদের লাশ ঘরের ভিতর রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে পুলিশ কে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই বাড়ীর আলাল উদ্দিন (৫৫) ও তার পুত্রবধু শারমিন আক্তার (২২)কে আটক করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মন্ডল ও সদস্য আকরাম হোসেন বলেন, আমরা লোকমুখে শুনে ঘটনাস্থলে যাই, গিয়ে দেখি সাজিদ নামের ছেলেটি রক্তাক্ত অবস্তায় তার নিজ বসত ঘরে খাটের উপর পরে আছে।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ খুনের ঘটনাটি নিশ্চিত করেন।
# মোঃ আবু সাইদ, নান্দাইল প্রতিনিধিঃ
০১৭১৬৭৬৩৭৭৫
২৭/০৩/২২ইং।