একসময় যে জলাভূমিতে মাছ পাওয়া যেত, সীমানার ওপারে ভারতের পাহাড় ধসে তা আজ বালু-পাথরে পূর্ণ মরুভূমি প্রায়। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী চাঁনপুরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম বেশ কয়েক বছর যাবত জলবায়ু দুর্গত। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিবছর তা বেড়েই চলছে।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কপ-২৬ সম্মেলনে বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি থেকে মুক্ত করতে বিশ্ব নেতারা একমত হতে ব্যর্থ। বিশ্বব্যাপী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতিবাদের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) চাঁনপুরে জলবায়ু দুর্গত স্থান থেকে কার্বন নিঃসরণ কমানো, জলবায়ু উদ্বাস্তুদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও কয়লাভিত্তিক জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি জানানো হয়।
উন্নয়ন সংস্থা হাউস ও উইক্লিবসিম যুব সংঘের যৌথ আয়োজনে হাজং নারী ও কিশোরীরা নৃত্যের মাধ্যমে জলাভূমির বিলুপ্তিতে মাছ ধরার অর্থাৎ জীবিকার সংকট বিশ্ব নেতাদের কাছে তুলে ধরে সমাধানের দাবি জানায়। ক্লিন ও এপিএমডিডির সহযোগিতায় আয়োজিত এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ব্যাপকসংখ্যক বাঙালি, খাসিয়া, গারো, হাজং জনজাতির নারী, পুরুষ ও শিশুরা অংশগ্রহণ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাউসের নির্বাহী পরিচালক সালেহিন চৌধুরী শুভ, উইক্লিবসিম যুব সংঘের নির্বাহী পরিচালক এন্দ্রো সলোমর, হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ নূর আহমেদ, গাজী আফজাল, শরীফ আহমদ, যুবলীগ নেতা আবদুল মোতালেব প্রমুখ।