বকশীগঞ্জ(জামালপুর) প্রতিনিধি।
বকশীগঞ্জ উপজেলার নীলাক্ষিয়া ইউনিয়নে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ফলে মামলার বাদী ও বিবাদীদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার কয়েক দফায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।
বকশীগঞ্জ উপজেলার নীলাক্ষিঅ মৌজার নীলাক্ষিয়া নতুন পাড়া গ্রামের নাজমূল হোসাইন ও আর এ এম কাউছারুল ইসলামের মধ্যে ৭৫ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে নীলাক্ষিয়া নতুন পাড়া গ্রামের নাজমূল হোসাইন বাদী হয়ে ২ ফেব্রেুায়ারী জামালপুরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মোকদ্দমা দায়ের (পিটিশন মোকদ্দমা নং ৮৫/২০২১, ফৌ:কা:বি:১৪৪/১৪৫) করেন। মামলায় একই গ্রামের নরুল ইসলামের ছেলে ডা: আর এ এম কাইছারুল ইসলামসহ একই পরিবারের ৪ জনকে আসামী করা হয়েছে।বিজ্ঞ আতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: নাসরীন পারভীন নালিশি ভূমিতে শান্তিশৃংখলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। একইভাবে নালিশ ভূমির দখল ও মালিকানার বিষয়ে বকশীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
বিজ্ঞ আদালতের আদেশে বকশীগঞ্জ থানা নালিশি ভূমিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষকে দন্ডবিধি ১৫৪ ধারা ও পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল এর নিয়ম ২৫২ এর ক্ষমতা বলে সর্তক করণ নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু বিবাদী আর এ এম কাউছারুল ইসলাম গং আদালতের আদেশ ও বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের সর্তক করণ নোটিশ অমান্যকরে ২৩ ফেব্রেুয়ারি সকালে উক্ত নালিশি ভূমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা ও টিনির প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দখল করে নেন। ফলে মামলার বাদী ও বিবাদী পক্ষের মধ্যে দাঙ্গা ও আইন শৃংখলার বিঘœ ঘটে। এই অবস্থায় দুই দফায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এব্যাপারে মামালার বাদী নাজমূল হোসাইন জানান, নালিশি ভূমির বিষয়ে আমি আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে আমি তাই মেনে নিবো। কিন্তু বিবাদী পক্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে লাঠিফালা নিয়ে উক্ত জমিতে স্থাপনা নির্মাণ ও টিনের প্রাচীর দিয়ে নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। প্রাচীর ও স্থাপনা নিমার্ণ স্থগিত করার জন্য প্রথম দফায় পুলিশ বাধা দিলেও পুলিশ যাওয়ার পর আবার দখল প্রক্রিয়া শুরু করেন। দ্বিতীয় দফায় বাধার মুখে বিবাদী পক্ষ নালিশি ভূমি থেকে চলে যান। আমার ধারণা পুলিশের তৎপরতা কমে গেলে তারা আবার দখল প্রক্রিয়া শুরু করবেন।
এব্যাপারে মামলার বিবাদী ডা: আর এ এম কাইছারুল ইসলামের ০১৯২৬৩৪০—- নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেন নাই।
এব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার এসআই মামলার তদন্ত কর্মকতা শরীফ জানান, বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে দুই দফায় পুলিশ গিয়ে দখল প্রক্রিয়া পন্ড করেছেন। আশা করি পরিস্থিতি শান্ত থাকবে।