নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে মানববন্ধন করেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের পৈতৃক সম্পত্তিতে স্কুলের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে জোড় পূর্বক জবর দখল করে নেয়া হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। সোমবার সকালে বকশীগঞ্জ উত্তর বাজার এলাকায় এই মানববন্ধন করেন তারা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল চন্দ্র সাহা বলেন,বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে সীমানা সংলগ্ন আমার বসত বাড়ি। দীর্ঘদিন যাবত আমরা ভোগ দখল করিয়া শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করিয়া আসিতেছি। সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ে নতুন বহুতল ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়। কাজের সময় দীর্ঘদিনের পুরনো সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে পড়ে যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ পুনরায় নতুন করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু পূর্বে যে দিক দিয়ে সীমানা প্রাচীর ছিলো সেদিক দিয়ে না করে আমার পৈতৃক সম্পত্তিতে সীমানা প্রাচীর করতে থাকে। আমি তাদেরকে আমার জমিতে প্রাচীর নির্মাণ করতে নিষেধ করি। কিন্তু স্কুলের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান আমাদের কথায় কর্ণপাত না করিয়া জোড় পূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মান করতে থাকে। আমি নিরুপায় হয়ে ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ্য হই। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। বিবাদীগন নোটিশ পাইয়া আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। আদালতের সিদ্ধান্ত না মেনে বিবাদী উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান সীমানা প্রাচীর করতে থাকেন। তাই আমি পুনরায় বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেই। আমার দাবি উক্ত জমি নিয়ে আমি আদালতের দ্বারস্থ্য হয়েছি। আদালতের সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত তারা যেনো উক্ত জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মান না করেন। তিনি আরো বলেন,আমিসহ আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাদের নানাভাবে হয়রানি করছেন। আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মনগড়া নাটক সাজিয়ে সাধারণ ডায়রী করেছেন। তাই আমরা জীবনের নিরাপত্তার জন্য ও আমাদের পৈতৃক জমি জবর দখল না হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন,তাদের অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। তারা ১৬২৫ ও ১৬২৬ নং দাগ উল্লেখ করে মামলা করেছেন। কিন্তু সেই দাগে উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কোন জমি নেই। বিদ্যালয়ের জমি ১৬২২,১৬২৩ ও ১৬২৪ নং দাগে। তাই তাদের বসত বাড়ির জমির দাগ ও স্কুলের জমির দাগ নং সম্পূর্ন আলাদা। তাদের জমিতে সীমানা প্রাচীর কেনো নির্মান করবো। স্কুলের জমিতেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি অবগত আছেন।