এম.শাহীন আল আমীন ।। বকশীগঞ্জ উপজেলার ইসলামি উচ্চ শিক্ষার বাতিঘর হিসেবে পরিচিত বাট্টাজোড় কে আর আই কামিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের অন্যতম সদস্য বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সফল সভাপতি দানবীর আল মামুন সি্িদ্দকীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে তার সুনাম নষ্ট করছেন একই এলাকার লম্পট আবু সাঈদ। গরীবের পরম বন্ধু হিসেবে পরিচিত আল মামুন সিদ্দিকী বাট্টাজোড় কে আর আই কামিল মাদরাসার ২য় বারের ম্যানেজিং কমিটির সফল সভাপতি। শিক্ষানুরাগি আল মামুন সিদ্দিকী সভাপতি হওযার পরেই অবহেলিত বাট্টাজোড় কে আর আই কামিল মাদরাসার উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। তার আমলেই বাট্টাজোড় কে আর আই মাদরাসা ফাজিল থেকে কামিলে উন্নিত হয়। পাবলিক পরীক্ষায় শতভাগ পাশের কৃতৃত্ব অর্জন করেন। অরক্ষিত মাদ্রাসার চার পাশে প্রাচীর নির্মাণ করে মাদরাসার পরিবেশকে সুরক্ষিত করা হয়। মাদরাসার দর্শণীয় গেইটও নির্মাণ হয় আল মামুন সিদ্দিকীর আমলেই। শিক্ষার মান উন্নয়ন হওযায় মাদরাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সুশিক্ষিত আল মামুন সিদ্দিকীর দাদা রিয়াজুল ইসলাম মন্ডল ১০ একর জমিদান করেন বাট্টাজোড় কে আর আই কামিল মাদরাসার নামে। তার দাদার দেওয়া ৩ একর জমির মধ্যেই ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠা হয় বাট্টাজোড় কে আর আই কামিল মাদরাসা। ইসলামি উচ্চ শিক্ষার বাতিঘর হিসেবে পরিচিত বাট্টাজোড় কে আর আই কামিল মাদরাসা ১৯৩৭ সালে সরকারি অনুমোদন পায়।
মাদরাসাকে কেন্দ্র করেই প্রতিষ্ঠা হয়েছে একটি এতিমখানা ও নূরানী মাদরাসা। প্রতিষ্ঠা হয়েছে মসজিদ ও কবরস্থান। ব্যাক্তিগত অর্থায়নে অনেক মসজিদ ও কবরস্থান প্রতিষ্ঠা করেছেন বাট্টাজোড় কে আর আই কামিল মাদরাসার সভাপতি মানবতার ফেরিওয়ালা বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক আল মামুন সিদ্দিকী। তিনি মাদরাসার অসংখ্য শিক্ষার্থীকে নিয়মিভাবে আর্থিক সাহায্য দিয়ে উচ্চ শিক্ষার সু ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বাট্টাজোড় এলাকার সকল সাধারণ শিক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে আল মামুন সিদ্দিকী অবদান রয়েছে। ঈদ, রমজান, বন্যা ও খরাসহ বিভিন্ন সময়ে আল মামুন সিদ্দিকী অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে সহায়তা দিয়ে থাকেন।
বাট্টাজোড় গ্রামসহ আশে পাশের গ্রাম গুলোতে নিজ খরচে দুই শতাধিক গৃহহীন পরিবারে ঘর নির্মাণ করে দিয়ে আবাসিক সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন সমাজ সেবক আল মামুন সিদ্দিকী। ২০টি ভূমিহীন পরিবারে নিজের টাকা দিয়ে জমি কিনে ঘর বাড়ি করে দিয়েছেন। ফলে ভ’মিহীন পরিবার গুলো মাথা গুজার ঠিকানা খুজেঁ পেয়েছেন। শতাধিক অসহায় পরিবারের শতভাগ ভরন পোষনের দায়িত্ব নিয়ে আল মামুন সিদ্দিকী গরীবের বন্ধু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। কয়েকটি ঈদগা মাঠেরও উন্নয়ন কাজ করেছেন আল মামুন সিদ্দিকী।
সততার কারণে আল মামুন সিদ্দিকী বাট্টাজোড় কে আর আই কামিল মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও বাট্টাজোড় গ্রামসহ বকশীগঞ্জ উপজেলার অসহায় মানুষের আস্থাশীল অভিভাবক। সমাজের উন্নয়নে তার অবদান অতুলনীয়। হাতে গুনে আল মামুন সিদ্দিকীর অবদান শেষ করা যাবে না।
সমাজে যথেষ্ট অবদান থাকার পরেও মিথ্যাচারের মাধ্যমে আল মামুন সিদ্দিকীর সম্মানহানি করছেন লম্পট , মামলাবাজ ও অপরাধ জগতের সদস্য আবু সাইদ। বাট্টাজোড় কে আর আই কামিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান জানান, সমাজের দুষকৃতিকারী হিসেবে পরিচিত আবু সাইদ মিথ্যা অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলন করে মাদরাসার সফল সভাপতি বকশীগঞ্জ উপজেলার কুতি সন্তান আল মামুন সিদ্কিীর সু-নাম নষ্ট করছেন। মিজান বলেন, আবু সাইদ মাদরাসার সম্পদ আত্মসাৎ ও মাদরাসাকে দ্বংস করার জন্য নানভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছেন। তিনি বলেন, আমি আবু সাইদের মিথ্যা অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। মিজান বলেন, আবু সাইদের মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার করা না হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিজানুর রহমান বলেন, আল মামুন সিদ্দিকীর মত একজন বিশাল মনের সৎ মানুষের গায়ে কলংকের কালিমা দিয়ে সমাজের খারাপ মানুষ হিসেবে পরিচিত আবু সাইদ শতাধিক প্রতিষ্ঠান ও অসংখ্য মানুষের ক্ষতি করছেন। সাধারণ মানুষ তা সহ্য করবেনা।
এব্যাপারে বাট্টাজোড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শীলা সারোয়ার জানান, আল মামুন সিদ্দিকী বকশীগঞ্জ উপজেলার গরীব মানুষের ভরসার প্রতীক। তিনি একজন মানবিক, শিক্ষানুরাগি, সমাজপতি ও দানবীর ব্যাক্তি। মামুনের মত যদি অন্যান্য বৃত্তশালী লোকজন এগিয়ে আসতো তবে সমাজের অবহেলিত মানুষ গুলোর কষ্ট থাকতো না। তিনি অর্থ দানের পাশাপাশি নিজের জমাজমি ও বসতবাড়ি পর্যন্ত গরীব মানুষদের বিলিয়ে দিয়েছেন। তার আবাদী জমি কমপক্ষে শতাধিক পরিবার হালচাষ করে খাচ্ছেন। মামুনের কারণেই বাট্টাজোড় ইউনিয়নের সার্বিক চিত্র পাল্টে গেছে। কাজেই আল মামুন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করলে দাতঁ ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।