এম.শাহীন আল আমীন ॥ ১১ ছাত্রীর পর বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে জ্বাল জন্মসনদের গ্যাড়াকলে পড়েছে আরও ৪ নীরিহ ব্যাক্তি। ৪ জনের প্রত্যেককে ৬ মাসের জেল দিয়েছেন বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুন মুন জাহান লিজার ভ্রাম্যমান আদালত। তারা বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সীল স্বাক্ষর দিয়ে তৈরি জ্বাল জন্মসনদের প্রতারণার শিকার হয়ে কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ তাদেরকে জামালপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
জানা যায়, বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন থেকে জন্মসনদ নিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ১১জন ছাত্রী। জন্মসনদ গুলো সঠিক না থাকায় লটারিতে জিতেও তারা বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পড়া লেখার সুযোগ পাচ্ছেনা। লটারিতে জিতে উক্ত স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর ১১ শিশু ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রতালনার শিকার ছাত্রীর অভিভাবকরা এব্যাপারে বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের উদ্যোক্তা বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলা নিবাহী অফিসার তদন্ত কমিটি করে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। তদন্ত কমিটি তদন্ত কাজও শুরু করেছেন। এই নিয়ে বকশীগঞ্জে নানা আন্দোলনও অব্যাহত রয়েছে। তাই জ্বাল বা ভূয়া জন্মসনদের বিষয়টি টক অব দি বকশীগঞ্জে পরিনত হয়েছে। বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন থেকে জন্মসনদ নিয়ে কয়েক হাজার মানুষ প্রতারণার শিকার হয়েছেন। একই ইউনিয়ন থেকে জন্মসনদ নিয়ে একইভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক,সাংবাদিক ও প্রবাশিসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ।
জ্বাল বা ভূযা জন্মসনদের গ্যাড়াকলে পড়ে সর্ব শেষ ৫ ফেব্রোয়ারি ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন বিয়ের বর, কাজীর দুই সহযোগি ও কনের ভাই। দন্ডিতরা হলেন, বর রিয়াদ হোসেন(১৮),কাজীর সহযোগি সাইফুল ইসলাম কালাম(৫৫), কাজীর সহযোগী সিহাব উদ্দিন(৪৫) ও কনের বড় ভাই সাজ্জাদ হোসেন(২০)। দন্ডিত সাইফুল ইসলাম কালাম ও সিহাব উদ্দিন বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কাজী খন্দকার নূর ইসলামের সহযোগী। ১২ বছন বয়সী এক শিশু কন্যা ও ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরের বাল্য বিয়েকে কেন্দ্র করে তারা দন্ডিত হয়েছেন। ওই বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক জব্দকৃত ২টি জন্মসনদই বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচিবের সীল স্বাক্ষর রয়েছে।