লিয়াক হোসেন বাবুল/ মোহাম্মদ আসাদ ।। দিনমজুর বাবার মাতৃহীন কন্যা জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের আলুরচর গ্রামের ৮ বছর বয়সী অগ্নিদগ্ধ শিশু জান্নাত আরার সু-চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন গাজী আমানুজ্জামান মডেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সমাজ সেবক দানবীর শিক্ষানুরাগী শিশু বান্ধব আলহাজ গাজী আমানুজ্জামান। দৈনিক গণজয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ দেখে তিনি গণজয় সম্পাদক এম.শাহীন আল আমীনকে মোবাইলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর গণজয় সম্পাদকের কাছে অগ্নিদগ্ধ শিশু জান্নাতের সার্বিক খোজঁ খবর নেন। সাংবাদিক এম শাহীন আল আমীনের মাধ্যমে জান্নাতের বাবা জামাল উদ্দিনের সাথে কথা বলেন।
দানবীর গাজী আলহাজ আমানুজ্জামান বলেন, মানবিক কারণেই আমি অগ্নিদগ্ধ শিশু জান্নাতের চিকিৎসার সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছি।গিাজী আমানুজ্জামান বলেন, আপনারা সবাই মাতৃহীন অগ্নিদগ্ধ শিশু জান্নাতের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেনো তাকে বাচিঁয়ে রাখেন। জান্নাত বেচেঁ থাকলে সমাজ জান্নাতের কাছে দায়মুক্তি পাবে। জান্নাত না বাচঁলে সমাজ কষ্ট পাবে। সমাজের লোকজন দায় থেকে মুক্তি পাবে না।
উল্লেখ্য বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের আলুরচর গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে জান্নাত আরা(৮)। পারিবারিক কলহের কারণে জান্নাতের মা বাবার মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সর্ম্পকের বিচ্ছেদ ঘটে। ফলে জান্নাতের মা জান্নাতকে রেখে চলে যায়। দিন মজুর বাবা ঢাকায় রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাই কোন উপায় না থাকায় দাদার অভাবি সংসারে লালিত পালিত হয়ে থাকে জান্নাত আরা। অভাবের কারণে তীব্র শীতেও জান্নাত আরার ভাগ্যে জুটেনি একটি শীতের কাপড়। তাই শীতের আক্রমন থেকে বাচাঁর জন্য ৮ জানুয়ারি কনকনে শীতের সকালে আগুন পোহাতে যায় মাতৃহীন শিশু জান্নাত আরা। আগুন পোহাতে গিয়ে সেদিনই অগ্নিদগ্ধ হয় শিশু জান্নাত আরা। মাথা ছাড়া তার সর্বাঙ্গ পুড়ে যায়। তার পরেও অর্থ সংকটের কারণে জান্নাত আরার ভাগ্যে সু-চিকিৎসা জুটেনি। ভর্তি করা হয়নি কোন সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে। তবে দাদা দাদির প্রচেষ্টায় কবিরাজি চিকিৎসা হয়েছে। কিন্তু কোন উপকার হয়নি। দিন দিন তার অবস্থার অবনতি হচ্ছে। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে জান্নাত আরা।
এই অবস্থায় মানবিক ব্যাক্তিত্ব শিশু বান্ধব বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুন মুন জাহান লিজার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জান্নাতকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সু-ব্যবস্থা করা হয়। জান্নাত বর্তমানে ময়মনসিংহ হাসপাতালের ৩য় তলায় ভর্তি আছে।