এম.শাহীন আল আমীন ।। ২৩ জানুয়ারি। শনিবার। বকশীগঞ্জ উপজেলার ১৪২ গৃহহীন ও ভূমিহীন হতদরিদ্র পরিবারের স্বপ্ন পুরণের দিন।
যারা সন্তানাদি নিয়ে এতদিন কষ্ট করে ভাংগা ঝুপড়িঘরে বসবাস করতেন তারা আজ সেমিপাকা ঘরে উঠবেন। যারা এতদিন ভূমিহীন ছিলেন তারা ঘরের সাথেই পাবেন জমির দলিল। হয়ে যাবেন জমির মালিক।
বরেণ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উদ্বোধনের পর পরই জমির দলিল ও সেমিপাকা ঘর আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করবেন বকশীগঞ্জ উপজেলার সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুন মুন জাহান লিজা।
প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার এই বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ববকশীগঞ্জ উপজেলার ১৪২ পরিবারের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনমুন জাহান লিজা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক ঘনঘন তদারকি ও যথাযথ দায়িত্ব পালনের জন্য সরকারের এই আশ্রয়ন প্রকল্পে বকশীগঞ্জ উপজেলায় কোন রকম দুর্নীতি বা অনিয়ম করার সুযোগ হয়নি। তাই বকশীগঞ্জ উপজেলায় আশ্রয়ন প্রকল্প নিয়ে কোন অভিযোগও নেই।
এব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুন মুন জাহান লিজা শুক্রবার সন্ধ্যায় বকশীগঞ্জ উপচেলার ডুমুরতলা আশ্রয়ন প্রকল্পের সর্বশেষ পরিস্থিতি পরিদর্শণ করে সিনিয়র সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমি ও সেমিপাকা ঘর দিচ্ছে সরকার। শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে উপকার ভোগীদের মাঝে ঘর ও জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হস্তান্তর করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনমুন জাহান লিজা জানান,“আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” স্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন যাদের জমি ও ঘর নেই তাদের পুুনর্বাসনের জন্য এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ১৪২ টি আশ্রয়হীন পরিবার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার। ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি সেমিপাকা ঘরের সাথে রয়েছে বারান্দা,রান্না ঘর ও টয়লেট। থাকছে বিদ্যুৎ সুবিধা।