বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ মাদারগঞ্জ উপজেলা শাখার ত্রি বার্ষিক সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
তিনি বলেন,১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তার প্রায়াত পিতা শেখ ফজলুল হক মনি এই যুবলীগের হাল ধরে ছিলেন। তার হাতে গড়া সংগঠনের হাল ধরেন নানক ও মির্জা আজম।
তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সারা দেশে শক্তিশালি অবস্থান তৈরী করেছে যুবলীগ।তিনি আরো বলেন,এক বছর আগে নভেম্বরে এক অনাকাংক্ষিত ঘটনার মধ্য দিয়ে আমাকে ও নিখিলকে যুবলীগের দায়ীত্ব দেওয়া হয়।
করোনা কালে যুবলীগ মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগে শুদ্ধি অভিযান করে যাচ্ছেন। এই অভিযানে যুবলীগকেই অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি অারো বলেন, রাজনীতি কোন ব্যবসা নয়, এই মনোবৃত্তি থেকে বের হয়ে অাসতে হবে। যারা রাজনীতি করেন তাদের অনেক ত্যাগ।
উদ্বোধক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সস্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, এক সময় জিয়া- মোস্তাক ষড়যন্ত্র করেছিল। সেই ষড়যন্ত্র থেমেনেই।
বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান কিছু যুদ্ধপরাধি রাজাকারের ছেলেদের দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।
কিছু নামধারি মোল্লাদের মনগড়া ফতুয়া দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে বাঁধা দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, ফতুয়াবাজরা বলছেন,এই ভাস্কার্য নাকি বঙ্গবন্ধুকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।
মির্জা আজম বলেন,সৌদি আরব ,পাকিস্থানসহ অনেক মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। অথচ সেই সব দেশে কোন সংগ্রাম নাই।
এই সন্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন,,
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসনে খান নিখিল,জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড.মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সহ সভাপতি আশরাফ হোসেন তরফদার,সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী,
জেলা যুবলীগ সভাপতি রাজন সাহা রাজু,সাধারণ সম্পাদক ফারহান আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বাবু জীবন কৃষ্ণ সাহা,
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বেলাল জেলা পৌর মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি,মেয়র মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।
দ্বিতীয় অধিবেশনে সাবেক মাদারগঞ্জ উপজেলা যুবলীগে মো: ফরিদুল ইসলামকে সভাপতি ও মো: শফিকুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।